ফেসবুকে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হোন
খুব কম মানুষই আছেন, যিনি দিনে একবারের জন্য হলেও ফেসবুকে ঢুঁ মারেন না। এদের কেউ কেউ ফেসবুকে
আকর্ষণীয় জিনিস পত্রের দিকে চোখ রাখেন। ফেসবুক আমাদের
জীবনের সাথে এমনভাবে একাকার হয়ে মিশে গিয়েছে, যা সামাজিক অভিজ্ঞতার স্বাদ দিনের পর
দিন বদলে দিচ্ছে। একেকদিন হাজির হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পসরা নিয়ে। আর এই পসরা কাজে
লাগিয়ে কেউ কেউ নিজেকে তৈরি করছেন ফেসবুক উদ্যোক্তা হিসেবে কিংবা ব্যবসায়ী হিসেবে। ফেসবুক উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ধারণাটি নতুন না হলেও অনেক জানেন না, কিভাবে এই মাধ্যমটি ব্যবহার
করে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে সফল করা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য বা
চাকরির অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিতে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজের একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে আয় করার জন্য ফেসবুক হতে পারে অন্য একটি মাধ্যম।
আজ ফেসবুকে ব্যবসা নিয়ে
কিছু টিপস আলোচনা করব। আশা করি আপনিও শুরু করতে পারেন ব্যবসায়ী হিসেবে ফেসবুকে
আপনার নতুন ক্যারিয়ার।
ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করাকে এফ কমার্স বলে। টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজন নেই এখানে। শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই ব্যবসা শুরু করতে
পারবেন। ফেসবুকে লগ ইন করলেই, এরকম কিছু
ব্যবসা আপনার চোখে পড়বে। সাধারণত শাড়ী, বিভিন্ন কাপড় চোপড়, গিফট আইটেম, নকশী কাথা,
বিভিন্ন খাবার, হস্তশিল্প ইত্যাদি প্রোডাক্ট নিয়ে অনেকে ব্যবসা শুরু করেছেন। এই
ধরনের ব্যবসা করার জন্য খরচও করার প্রয়োজন হয়না,
শুধু দরকার হয় নিজের সৃজনশীল মন মানসিকতা, সময় ও শ্রম।
ছোট ও লোকাল ব্যবসার জন্য ফেসবুক
যেকোন ছোট ও লোকাল ব্যবসার জন্য ফেসবুক হতে পারে শক্তিশালী
মাধ্যম। ফেসবুকে লগইন করলে আপনি কিছু কোম্পানির
ব্যবসা দেখে বিস্মিত হতে পারেন। কিন্তু
লক্ষ্য স্থির রাখলে আপনিও তাঁদের মত হতে বেশী দিন লাগবে না। আমি এক মহিলাকে দেখেছি
শুধু টিপ বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করেছেন। উনার টিপ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
কি ব্যবসা করবেন?
প্রথমে চিন্তা করুন কি ব্যবসা করবেন? ফেসবুকের ব্যবসা
বেশীরভাগ এলাকা ভিত্তিক। আপনার এলাকায় কোন জিনিসের চাহিদা? আপনার বন্ধু, আত্মীয়
স্বজন, পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করুন। সিদ্ধান্ত নিন, একটা প্রোডাক্ট নিয়ে
ব্যবসা শুরু করবেন, নাকি একের অধিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করবেন।
ফেসবুক ব্যবসায়িক পেজ তৈরি
করুন
ফেসবুকে যে কোন ব্যবসা শুরু করতে হলে,
আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ তৈরি করতে হবে।
ফেসবুক পেজ তৈরি করা, ওয়েব সাইট এর চেয়েও সহজ। তাছাড়া এতে কোন খরচ লাগে না। ফেসবুক
পেজ তৈরির আগে মনে রাখবেন, ব্যক্তিগত পেজ
আর ব্যবসায়িক পেজ এক নয়। পেজের নাম
হবে ব্যবসার নামে। তবে ব্যক্তিগত
প্রোফাইলের সাথেই চলবে ব্যবসায়িক পেজ। ব্যবসা করার দীর্ঘ
মেয়াদী চিন্তা ভাবনা করেই নামটা ঠিক করতে হবে।
আপনি চাইলে ফেসবুকে বিজনেস একাউন্ট করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার পেজে ব্যবহারের
জন্য কিছু টুলস পাবেন। এজন্য ফেসবুক আপনাকে চার্জ করবে। তবে লোকাল ব্যবসার জন্য
এটির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
পেজ ব্যানার, স্লোগান এবং লোগো তৈরি করুন
পেজ ব্যানার ও প্রোফাইল ছবি আপনার ব্যবসায়িক
মানকে প্রতিনিধিত্ব করে। মানুষ
প্রথমে প্রোফাইল ছবি দেখে, সেই ক্ষেত্রে প্রোফাইল ছবি কোম্পানী লোগোতে পরিণীত
হয়। উন্নত লোগো, ব্যানার কিংবা কভার ফটো আপনার পেজকে অবশ্যই সুন্দর এবং প্রফেশনাল করবে।
আপনি আরো বেশী প্রফেশনাল করতে চাইলে একজন ভালো ডিজাইনার দিয়ে লোগো তৈরি করে নিতে পারেন। আপনার ব্যবসায়িক
পেজের জন্য একটা স্লোগান নির্বাচন করুন। যেটা আপনার ক্রেতা কে আকৃষ্ট করতে সক্ষম
হবে। যেমন বাংলাদেশ বিমানের স্লোগান, আকাশে শান্তির নীড়।
“About” সেকশন
কখনো খালি রাখবেন না
আপনি যে ব্যবসাটি করবেন তার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ফেসবুক পেজটির About
সেকশনটি ভালভাবে পূরণ করুন।
এই সেকশনটি আপনার ব্যবসার প্রধান প্লাটফর্ম। মনে রাখবেন, আপনার পেজের বেশীরভাগ
সদস্য এই সেকশন ভিজিট করে জেনে নিবেন আপনার ব্যবসার খুঁটিনাটি। বড় কোন প্রবন্ধ নয়,
সংক্ষিপ্ত বিবরণ হওয়া উচিত। আপনি হবেন এই পেজের
এডমিন। আপনি চাইলে একটা টিমও তৈরি করতে পারেন। টিম এই পেজের সব কিছু নিয়ন্ত্রন
করবে।
পেজে মেম্বার যুক্ত করা
আপনার পেজটি প্রস্তুত হয়ে গেলে পেজের মেম্বার বাড়ানো শুরু করতে হবে। সবার প্রথমে নিজের ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে, নিজের কাছের কোন বন্ধুকে অনুরোধ করে, তার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে এ পেজে যুক্ত করে নেওয়ার জন্য ইনভাইট করুন। এ পদ্ধতিতেই চেষ্টা করুন পেজে ১০০০ টা লাইক যুক্ত করার।
এর পর এলাকা ভিত্তিক ফ্রেন্ড লিস্ট তৈরি করুন। যেমন, আপনি ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস
করেন। ফেসবুকে ধানমন্ডি লিখে সার্চ করুন এবং দেখুন কি পরিমান ভিজিটর দেখাচ্ছে।
তাঁদের কে ফ্রেন্ড লিস্ট এ ইনভাইট করুন, একসেপ্ট করলে আপনার পেজের জন্য ইনভাইট
করুন। এতে বেশী না হোক, অন্তত কিছু মানুষকে আপনি পাবেন।
নিজেকে পরিচিত করাটাই আসল
নিজেকে পরিচিত করুন। অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে, যে ক্রেতা, তার কাছে আপনি (ব্যবসার মালিক) একদম অপরিচিত এবং অবিশ্বস্ত। সুতরাং ক্রেতা কখনও প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগে আপনাকে পেমেন্ট করতে সাহস পাবেনা। আবার আপনি নিজেও পেমেন্ট পাওয়ার আগে অপরিচিত একজনকে প্রোডাক্ট দিতে রিস্ক নিবেননা। তাই
ক্রেতার সাথে পরিচয় হন, সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। অনলাইনের মাধ্যমেই এখন মানুষের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এ বন্ধুত্ব তৈরির জন্য
আপনাকে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। আর অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি হলেই বিশ্বাস এবং আস্থা তৈরি হবে। তখনই ক্রেতা প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগেই পেমেন্ট দিতে আপত্তি করবেনা।
সুতরাং নিজেকে পরিচিত করুন, ব্যবসার পরিধি বাড়ান।
লাইক নয়, সেল এ মনযোগ দিন
অনেকে ফেসবুকে লাইক পেলে বেশী খুশী হয়। এত খুশী হওয়ার কোন
কারন নেই। ফেসবুকে লাইক বৃদ্ধি করে ব্যবসার জন্য লাভ নাই।
ফেসবুকে লাইক বেশি থাকলে সেল
বেশি হবে এটা অনেকের ধারণা। যা সম্পূর্ণ ভুল। ফেসবুক পেজে অ্যানগেজমেন্টটা সবচাইতে জরুরী।
অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি করুন, সেল বেড়ে যাবে।
কিভাবে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি করবেন
অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি ফেসবুক ব্যবসার
প্রাথমিক কৌশল। প্রতিদিন ফেসবুক পেজটিতে কমপক্ষে
২টি করে পোস্ট দিবেন।
আগামীকাল কি পোস্ট করবেন, সেগুলো নিয়ে আজকে
কিছুটা গবেষনা করে নিন। তথ্য নিন ইন্টারনেট থেকে। ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে,
সেগুলো থেকে কপি না করে কাস্টমাইজ করে নিন। বার বার স্টাডি করুন। তারপর পোস্ট দিন।
সরাসরি ফেসবুকে না লিখে ওয়ার্ড প্রসেসর এর সাহায্য নিন, এর পর কপি করে আপনার পেজে
পেস্ট করুন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারেন মানে আপনি ফেসবুক মার্কেটার হয়ে গেছেন মনে করার দরকার নাই।
ধরুন আপনার ব্যবসাটি হবে দেশীয় শাড়ী, যেমনঃ তাঁতের
শাড়ী। এজন্য তাঁতের শাড়ী নিয়ে আপনাকে স্টাডি করতে হবে। আপনিতো
তাঁতি নন। তাই তাঁতের শাড়ী সম্পর্কে বেশী জানেন, এমন কারো সাহায্য নিতে হবে। এ সম্পর্কিত অনলাইনে কি কি পোস্ট আছে সেগুলো খুজে বের করে আগে সব লিস্ট করে রাখুন।
লিস্ট করে রাখা সব পোস্টগুলো থেকে এবার কন্টেন্ট তৈরি করুন। ফেসবুকের কন্টেন্ট আর ব্লগের কনটেন্ট এক
নয়। ফেসবুকের কন্টেন্ট সাধারণত ছোট হয়। সারমর্ম টাইপ হয়। আপনি যদি তথ্য বহুল পোস্ট
দিতে চান, তাহলে নোট অপশন বেচে নিতে পারেন। কপি পেস্ট না করে নিজের মত করে কন্টেন্ট উপস্থাপন করুন। কপি পেস্ট করলে ব্রান্ডিংয়ে কম সফল হবেন। এমন কন্টেন্ট তৈরি করুন, যা মানুষের জন্য উপকারী হবে। মানুষের উপকারী তথ্য দিয়ে কোন পোস্ট করলেই, পেজের মেম্বাররা আপনাকে বন্ধু মনে করা শুরু করবে, আপনার উপর আস্থা শুধুমাত্র তখনই তৈরি হবে।
টিপস
· প্রতিদিনের ২টি পোস্টের মধ্যে একটি পোস্ট কুইজ টাইপ হতে পারে। কুইজ টাইপ পোস্টে কমেন্ট এবং লাইক প্রচুর পাওয়া যায়।
· শুরুতে কখনই বিজ্ঞাপন টাইপ কোন পোস্ট করবেননা, তাতে বন্ধুত্ব তৈরি হবেনা, দূরত্ব তৈরি হবে।
সহজে তথ্য আদান প্রদান
ফেসবুকের প্রতি মানুষের আসক্তি সামাজিক ব্যবসার প্রচার
ও প্রসারে একটি অসাধারণ অবদান রেখেছে।
ফেসবুকে তথ্য বিস্তারে সবচেয়ে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। বন্ধুর সাথে বন্ধু, পরিবারের সাথে পরিবার, পরিবারকে বন্ধুদের
সাথে তথ্য আদান প্রদান ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করে।
ব্যবসা সপ্রসারনের উপর জোর দিয়ে আপনি সহজেই বিভিন্ন মানুষের সাথে
তথ্য শেয়ার করে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন,
এতে কোন বাধা কিংবা সীমা নেই।
অন্যের বিজনেস পেজে লাইক
দিন, কমেন্ট করুন
অন্যের বিজনেস পেজে লাইক দিন,
কমেন্ট করুন। এমনকি যাদেরকে আপনি আপনার প্রতিযোগী মনে করেন, তাঁদের পেজে গিয়েও
লাইক দিন, গঠনমূলক কমেন্ট করুন। এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না,
বরং আপনি তাঁদের ক্লায়েন্ট এর নিকট সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন। ক্লায়েন্ট তাঁদের
প্রোডাক্ট এর সাথে আপনার প্রোডাক্ট তুলনা করা সুযোগ পাবে। যদি আপনার প্রোডাক্ট
তাঁদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়, তাহলে তাঁদের ক্লায়েন্ট আপনার হতে দেরী লাগবে না।
কমেন্ট এর জন্য আপনাকে সাদালাপী, বিনয়ী হতে হবে। মানুষ জন্য ফেসবুক একটি সামাজিক
মাধ্যম, তাই যে কোন ছবি, ভিডিও, স্ট্যাটাসে কমেন্ট করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
কোন ধরনের ভুল, রুড ভাষা ব্যবহার করলে মানুষ আপনাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দিবে।
তখন আপনার ব্যবসার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
বিশেষ অফার দিন
ফেসবুকে ব্যবসার জন্য
আপনাকে জানতে হবে, কি কি সুযোগ সুবিধা আপনি পাচ্ছেন। আপনাকে বুঝতে হবে ফেসবুকে
মার্কেটিং রেডিও টেলিভিশন ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনের মার্কেটিং এক নয়। সবসময় ব্যতিক্রম কিছু
করার চিন্তা করুন, যা অন্যরা করে না। আপনি ফেসবুকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি হোন কিংবা
নতুন ব্যবসা শুরু করুন, ব্যতিক্রম কোন কিছু আপনার ব্যবসাকে পৌঁছে দিতে পারে
সাফল্যের দ্বার প্রান্তে। যেমন একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি অফার, ৫০% ছাড় ইত্যাদি। উদ্যোগ নিলে সেটি মানুষের নজরে খুব সহজে আসবে।
যদি লোকাল ব্যবসা হয়
তাহলে সেক্ষেত্রে অফলাইন বিভিন্ন উদ্যোগও অবশ্যই নিতে হবে। না হলে ব্রান্ডিং করা যাবেনা। যেমন
সামাজিক কাজকর্মে অংশগ্রহন। বন্যার্ত দের জন্য ত্রান সংগ্রহ ও বিতরণ। এরকম কিছু অফলাইন ক্যাম্পেইন আপনার
মারকেটিংকে অনেক সহজ করে দিবে। নিজের মাথা থেকে
এরকম আরো ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিতে পারেন।
এরকম উদ্যোগ কমপক্ষে ৩মাসে একবার হলেও অবশ্যই করতে হবে। এটি আপনার ব্রান্ডিং কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে।
আগামীদিনে লক্ষ্য স্থির
রাখুন
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার লক্ষ্য আপনাকে পরিষ্কার রাখতে হবে, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য
আপনাকে স্থির থাকতে হবে। যেমন আপনার একটি ফ্রাইড চিকেন শপ এর ব্যবসা আছে। আপনার
লক্ষ্য ব্যবসার প্রসার করা। তাই আপনাকে আগামী ছয় মাসের জন্য একটা ব্যবসায়িক প্লান
করতে হবে। মনে করুন আপনি পরবর্তী ছয় মাসে ব্যবসাকে ১০% বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে
নিম্নের বিষয় গুলো ফোকাস করুন। আপনার ফেসবুক পেজ প্রতিদিন সকালে আপডেট দিন। কুপন
তৈরি করুন, ফেসবুকে পোস্ট দিন। নিয়মিত
স্টাটাস আপডেট করার সময় সৃজনশীল চিন্তা করুন, এটি আপনার ব্যবসায়িক
যোগাযোগের ক্ষেত্র শক্তিশালী করবে।
টিপস
প্রতিদিন
কুপন বিজয়ীদের ছবি আপলোড করুন।
ব্যবসার জন্য স্বচ্ছ মাধ্যম
কাছের মানুষদের কাছ থেকে পেজের রিভিউ অংশে ভাল রিভিউ লিখে নিন। অনুরোধের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আদায় করে নিন। যারা একটু অনলাইনে বেশি পরিচিত তাদের কাছ হতে রিভিউ নিতে পারলে বেশি ভাল হবে। তাঁদের
ওয়ালে ছবি শেয়ার করতে বলুন। একটা ধারাবাহিক সময়ে যেমন এক সপ্তাহ পর পর
আপনার বিক্রির পরিমান চেক করুন। ফেসবুকে কোনো পণ্যের মার্কেটিং কেমন হল তা দেখা যায়। এখানে
লুকানোর কিছু নেই। ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন সে পোস্টটা কতটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে
পেরেছে। সুতরাং এটি এতটাই স্বচ্ছ যে, এখানে গোপনীয়তার কোনো অবকাশ নেই। রিভিউ দেখে মানুষের মনে আপনার কাছ হতে প্রোডাক্ট কিনার ব্যাপারে আস্থা তৈরি হবে। কাছের মানুষের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করেই রিভিউ নিন, মিথ্যা রিভিউ নেওয়ার দরকার নেই।
টিপস
পেজের অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা আগে সাজিয়ে নিন
কমেন্ট’র রিপ্লাই দ্রুত
করুন
আপনার পোস্ট নিয়ে কেউ
কমেন্ট করলে দ্রুত তার উত্তর দিন। কোন উপদেশ থকলে স্বাগত জানান। আপনি কারো পেজে
কমেন্ট করে নিজেকে উপস্থাপন করুন। এইভাবে অন্যের সাথে ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন
করুন।
ছবি ও ভিডিও’র ব্যবহার
বিষয়ভিত্তিক করুন
ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। ভিডিও শেয়ার হয় প্রচুর। সেখান থেকেও অনেক লাইক বৃদ্ধি পাবে। সপ্তাহে একটি ভিডিও আপলোড করার পরিকল্পনা রাখলেই ভালই হবে।
ছবি এবং ভিডিও’র ব্যবহার আপনার পেজকে বাড়তি আকর্ষণ দিবে। যে কোন প্রোডাক্ট এর ছবি
দিন, ভিডিও থাকলে আপলোড করুন। এতে ক্লায়েন্ট এর নজর পড়বে বেশী।
যেমনঃ
· একজন
কাপড় ব্যবসায়ী তার নিত্য নতুন স্টক এর ছবি পোস্ট করবেন।
· একজন
গৃহনক্সাবিদ তার নিত্য নতুন ডিজাইন ও আইডিয়া পোস্ট করবেন।
· একজন
পার্সোনাল ট্রেইনার ব্যায়ামের বিভিন্ন ইন্সট্রাকশন ভিডিও আপলোড করবেন। ইত্যাদি।
টিপস
ব্যবসার কথা মাথায় রেখে স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করুন।
সুসম্পর্ক ব্যবসার
প্রধান পুঁজি
ফেসবুক
ব্যবসাতে আপনার কাস্টমারের সাথে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপনই আপনার ব্যবসার প্রধান
পুঁজি। সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে এগোতে হবে। কারন এটি
দ্রুত সম্ভব নয়। গঠনমূলক ও তথ্য নির্ভর পোস্ট দিন, তাহলে কাস্টমারের নিকট পৌঁছাতে
বেশী দেরী লাগবে না, পজিটিভ ফিডব্যাক পাবেন।
ফেসবুক পেজ প্রমোট করুন
আপনার
ফেসবুক পেজ প্রমোট করাটা সম্পূর্ণ আপনার হাতে। আপনার ব্যবসার জন্য বিজনেস কার্ড
তৈরি করুন, ফেসবুক পেজের লিঙ্ক দিয়ে দিন। আপনি স্টিকার ছাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায়
লাগাতে পারেন। যেমন বিভিন্ন যানবাহন। এতে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে সহায়ক
হবে।
টিপস
·
কাস্টমারের চাহিদা ও বয়স বুঝে ব্যবসার প্লান তৈরি
করুন। যেমন বই বিক্রি করতে চাইলে কাস্টমারের বয়স বুঝে বিজ্ঞাপন দিন।
· শুরুর দিকে খুব সতর্কভাবে প্রতি ২দিন পর পর কোন একটি পোস্টে আপনার ব্যবসার কথা বলতে পারেন, তবে এত তাড়াতাড়ি সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রির কথা বললে, সেটি ব্রান্ডিংয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য পেমেন্ট সিস্টেম
ফেসবুকে পে করাটা কিছুটা জটিল। লোকাল
কাস্টমারকে ক্যাশ ডেলিভারী দিতে পারেন। কিন্তু দুরের কাস্টমারদের জন্য সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করা না গেলেও চেষ্টা করুন জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেমগুলোতে পেমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের জন্য বিকাশ, ব্রাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এই জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে পারেন।
টিপস
সব লেনদেন সবসময় স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলেই সবার মধ্যে ব্যবসা সম্পর্কে আস্থা তৈরি হবে।
আপনার হেরে যাবার কোন ভীতি থাকবে না।
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় ফেসবুকের ব্যবহার
টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স হচ্ছে টিসপ্রিং, যেটা হচ্ছে টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন। এ অ্যাফিলিয়েশনের জন্য বেশীরভাগই ফেসবুককেই ব্যবহার করা হয়। টি-শার্ট বিক্রি করে
প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করছে ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী তরুণ ব্যবসায়ীরা। এরা
ফেসবুক মার্কেটিংয়ের শুরুতে এ ব্যবসা শুরু করেছিল। ১০০ টাকায় টি-শার্ট কিনে আর শ’খানেক টাকায় ডিজাইন করে খুব সহজে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়
টি-শার্ট বিক্রি করছে এরা। প্রতি টি-শার্টে এদের ২০০ টাকা লাভ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই শুধু ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে এত টাকা আয় করছে।
মূল কথা হল লক্ষ্যে ঠিক থাকা।
হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশন
হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। ইনকাম কয়টা সেল করেছেন, সেই অনুযায়ি বাড়তে থাকে। ইনকাম মাসে ৫০০০টাকা – ৮০,০০০টাকা হতে পারে। তবে হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া সম্ভব না। কারণ নিয়মিত ইনকাম সম্ভব হবেনা।
লোকাল ব্যবসা
লোকাল যেকোন ব্যবসার প্রোফিট বৃদ্ধির জন্য এখন ফেসবুক মার্কেটিংকে সবাই ব্যবহার করছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, ফ্যাশন হাউজ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য ব্যবসাতেও ফেসবুকে মার্কেটিং করেই ইনকাম বৃদ্ধি করতে হয়।
নিজের দক্ষতা অন্যকে জানান
আপনি যদি নিজেকে দক্ষ মনে করেন, কিন্তু কোথাও তারপরও চাকুরি হচ্ছেনা, তাহলে সেক্ষেত্রে বলব, আপনি আপনার দক্ষতাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোশন চালান।
যেমন মোটর মেকানিক, পেইন্টার, ম্যরেজ মিডিয়া, একাউন্টিং ইত্যাদি। তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমেই অনেকে দক্ষতার ব্যপারে জানতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবেনা। কাজ আপনাকে খুজে বের করবে। তখন কাজ করে শেষ করতে পারবেননা।
সম্ভাব্য কাস্টমারের আচরণ বুঝুন,
টার্গেট করুন
সম্ভাব্য কাস্টমারের বয়স, সেক্স, তাদের কেনার ক্ষমতা, কেনার অভ্যাস, তাদের আচরণ বুঝতে হবে, সেই অনুযায়ি কনটেন্ট ডেভেলপ করতে হবে। সম্ভাব্য কাস্টমারদের ডাটা কালেক্ট করা এবং তাদের আচরণটা অ্যানালাইস করা জানতে হবে।
সঠিক অডিয়েন্স খুজে বের করে শুধুমাত্র তাদের কাছেই মার্কেটিং করেন। এ সঠিক অডিয়েন্স কারা সেটা বুঝার জন্য অনেক টুলস রয়েছে যার ব্যবহার না জেনে অন্ধের মত মার্কেটিং করলে সময়টাই নষ্ট হবে। ইনকাম আর হবেনা।
কত বেশি মানুষ আপনার
পোস্ট দেখলো, সেটাতে আপনার স্বার্থকতা না, কতজন আপনার প্রোডাক্টটি কিনলো, সেটাতে মার্কেটিংয়ে সফলতা। সেজন্য সঠিক কাস্টমার
টার্গেট করুন।
রিমার্কেটিং টেকনিক
এপ্লাই করুন
ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কোন প্রোমোশন যদি একই ব্যক্তির কাছে বার বার নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে প্রোডাক্টটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এজন্য কাস্টমার ধরে রাখা, তাদের কাছে বার বার মার্কেটিং করে মেসেজ পৌছে দেওয়াটা
জরুরী। এই ধরনের পদ্ধতিকে রিমার্কেটিং টেকনিক বলে।
নিজেকে আইকনে পরিণত করুন
ফেসবুক ব্যবসাতে নিয়মিত সময় ও শ্রম দিয়ে নিজেকে দক্ষ করে
তুলুন। এতে আপনি অন্যদের নিকট আইকনে পরিণত হবেন। একবার মানুষের কাছে আইকন হয়ে গেলে হলে মার্কেটিং করার কষ্ট কমে যায়। অল্প কষ্টে বেশি লাভ করা যায়।
মাসিক মার্কেটিং রিপোর্ট পযবেক্ষণ
ও মার্কেটিং প্লান তৈরি
প্রতিটা মার্কেটিংয়ের প্রতিটা ফলাফল দেখার ব্যবস্থা রয়েছে ফেসবুকে। সেগুলো অ্যানালাইস করতে না জেনে মার্কেটিং করলে কোন লাভ নাই। সেগুলো না জেনেই মার্কেটিং করলে অন্ধের মত সমুদ্রে হাতরানো হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ি মার্কেটিং প্লান তৈরি
করুন। মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ি পরবর্তী মাসের মার্কেটিং প্লানটা সাজাতে হবে। কোন ধরনের কনটেন্ট মানুষকে আকর্ষণ করছে, কোন সময়ে মানুষজন অনলাইনে বেশি থাকে সেগুলো জেনে মার্কেটিং করলে পরিশ্রম অনেক কমে যাবে, ইনকামটাও বাড়বে।
অন্যের বিজনেস অ্যানালাইস করবেন
না
অন্যের বিজনেস অ্যানালাইস না করে
আপনার বিজনেসের মার্কেট অ্যানালাইস করুন। অন্যেরটা অ্যানালাইস করলে কোন লাভ হবেনা। হতাশাটাই শুধু পাবেন। আপানার
প্রতিযোগী ও তার দৌড় দেখে তারপর আপনার মার্কেটিং প্লান তৈরি করুন।
অন্যদের পেজে গিয়ে মার্কেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিন।
নিজেকে প্রতিদিন কিছু সময় দিন
ফেসবুকে কোন পোস্ট দিলে মানুষের অ্যানগেজমেন্ট বাড়ে, কিভাবে মার্কেটিং করলে আপনার পেজ বেশি মানুষ দেখবে, কোনভাবে মার্কেটিং করলে আপনি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন সেসব বিষয়েও ভালভাবে দক্ষতাটা অর্জন করার জন্য
কমপক্ষে নিজেকে প্রতিদিন কিছু সময় দিন।
যেসব পোস্টগুলো সবার জন্য কাজে লাগবে, সেই পোস্টগুলো অন্যগ্রুপেও শেয়ার করুন। তাহলে এ ফেসবুক পেজটির লাইক বাড়তে থাকবে।
শেয়ার করুন, ট্যাগ করুন চিন্তা ভাবনা করেই
ছবি সম্পর্কিত পোস্টগুলো প্রচুর শেয়ার হয় এবং অ্যানগেজিংও প্রচুর বৃদ্ধি পায়। উপকারী তথ্য আকর্ষণীয় ছবি
থাকলে অবশ্যই এটা শেয়ার হবে। যাদের ওয়্যালে শেয়ার হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে তাদের বন্ধুরা পেজটি সম্পর্কে জানতে পারবে। আর বার বার এ পেজটির নাম জানলেই, সেটি ব্রান্ড হয়ে দাঁড়াবে। ব্যবসায়িক কারনে তৈরি কোন ইমেজ কেউ সেটি শেয়ার করবেনা।
তবে ভেবে চিন্তে ট্যাগ বা শেয়ার করতে হবে। যা আপনার ব্যবসায়িক পোস্ট তাই ট্যাগ
করুন। ব্যক্তিগত কোন পোস্ট ট্যাগ করবেন না। ট্যাগের জন্য আপনাকে অনুমতি নিতে হবে।
যাকে ট্যাগ করবেন, তার প্রাইভেসি সেটিং এ ট্যাগ এর অনুমতি দেওয়া থাকলে তা আপনার
ফ্রেন্ড এর ওয়ালে দেখা যাবে। আপনার বিজনেস প্রমোট করার জন্য এটি এক ধরনের কৌশল।
যেমন একজন ট্রাভেল এন্ড ট্যুর অপারেটর তাঁদের ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন ছবি ট্যাগ করতে
পারেন। এতে ক্লায়েন্ট বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনি আপনার ব্যবসায়িক
বিভিন্ন আনন্দ মুহূর্ত গুলোর পোস্ট শেয়ার বা ট্যাগ করতে পারেন।
কাস্টমার কেয়ার এন্ড
সাপোর্ট
কাস্টমার কেয়ার এন্ড
সাপোর্ট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে বলার চেয়ে শুনতে অভ্যস্ত হতে হবে।
কাস্টমারকে শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব দিতে হবে। যেকোন প্রোডাক্ট বিক্রয় এর আগে ও পরে এই সার্ভিস
খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাক্ট এর তথ্য পোস্টের পর কাস্টমার যেকোন প্রশ্ন আপনাকে
করতেই পারে, যেমন দর-দাম, রিটার্ন আফটার সেল, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি। আপনাকে এই সবের
উত্তর দিতে হবে। আবার বিক্রয় এর পর বিভিন্ন সেবা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ফেইক একাউন্ট, যা কখনো করতে যাবেন না
আমরা অনেক সময় ফেইক একাউন্ট ব্যবহার
করি। ফেসবুক ব্যবসায় কোনভাবে ফেইক একাউন্ট ব্যবহার করা উচিত হবে না। তাছাড়া ফেসবুক
এর টার্ম এন্ড কন্ডিশনে ফেইক একাউন্ট ব্যবহার করা অনৈতিক।
কাস্টমার সম্পর্কে তথ্য
রাখুন
বর্তমান কাস্টমারের
তালিকা তৈরি করুন। ফোন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, ঠিকানা যদি থাকে, তাহলে লিখে রাখুন।
এই জন্য একটি ডায়েরী রাখুন কিংবা ফাইল মেইন্টেন করুন। কে কখন আপনাকে অর্ডার
দিচ্ছেন, কি অর্ডার দিচ্ছেন, কখন ডেলিভারি দিতে হবে ইত্যাদি লিখে রাখুন। ব্যবসার
জন্য ফাইল মেইন্টেন খুব জরুরী।
অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যৎ
ফেসবুক এক ধরনের অনলাইন ব্যবসা। বিশ্বের শীর্ষ ধনীগণের
বেশীরভাগ অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা। তারা অনলাইন ব্যবহার করে বড়লোক হয়েছেন। এখান
থেকেই বোঝা যায় অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার ভবিষ্যৎ। অনলাইন একসময় টিভিকে ডিঙিয়ে
মার্কেটিং এর প্রধান ক্ষেত্রে পরিণীত হয়ে যাবে। অনলাইন প্লাটফর্মে ফোকাস আসবে, কারণ
এখনকার প্রজন্ম টিভি দেখার কাজও অনলাইনে সেরে ফেলেন।
সবশেষ
বর্তমানে দেশজুড়ে ফেসবুক ইউজার হল ১ কোটি ৯০ লাখের চেয়েও
বেশী। এ সংখ্যা থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজার কেমন। স্মার্টফোনের কারণেই
ফেসবুক ইউজার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। আগামী বছর এই সংখ্যা আরো ৫০ লক্ষ বাড়তে পারে।
ব্যবসার একমাত্র মন্ত্র, লেগে থাকুন। ফেসবুক এখন খুব অভিজ্ঞ প্লাটফর্ম। ইউটিউবে
ভিডিও দেখে মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। ফেসবুক ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরির অনেক ভিডিও আছে
ইউটিউবে। দেরী নয়, শুরু করে দিন। স্বাবলম্বী হোন।
No comments:
Post a Comment